
প্রকাশনা সংস্থার পরিচিতি
সৃজনশীলতার বিস্তার এবং দেশের নবীন-প্রবীণ লেখকদের সৃষ্টিকে তুলে ধরতে কথাপ্রকাশ-এর যাত্রা শুরু ২০০২ সাল থেকে। কথাপ্রকাশ তার অগণিত পাঠকের চাহিদাকে সামনে রেখে নিয়মিত গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গবেষণা, সম্মাননা সংকলন, ভাষা ও সাহিত্য, রেফারেন্স ও চিরায়ত গ্রন্থ, আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা, সাক্ষাৎকার, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র, ভ্রমণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, জীবনীগ্রন্থ, শিশুসাহিত্য, কিশোর ক্ল্যাসিক, অনুবাদ, বিজ্ঞান ও সায়েন্স ফিকশনসহ বিচিত্রবিষয়ক বই প্রকাশ করে চলেছে। এ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হয়েছে নয় শতাধিক বই। দেশের নবীন-প্রবীণ প্রতিভার সম্মিলন ঘটিয়ে কথাপ্রকাশ বাংলা সাহিত্যকে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে গ্রহণ করেছে নানামুখী উদ্যোগ।
কথাপ্রকাশ ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বাংলা একাডেমির ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’য় অংশগ্রহণ করে আসছে। এছাড়া পাঠকের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রতি বছর রাজধানীর কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি, শিশু একাডেমীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় আয়োজন করে চলেছে ‘কথাপ্রকাশ বই উৎসব’।
কথাপ্রকাশ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০০৮-এ ‘শুভেচ্ছা পদক’, অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১০-এ সৃজনশীলতা ও শ্রেষ্ঠ স্টলের জন্য ‘সরদার জয়েন উদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার’, বরিশাল জেলা প্রশাসন আয়োজিত বইমেলা ২০১২-এ ‘প্রথম স্থান’, রাজশাহী সংস্কৃতি উৎসব ২০১২-এ ‘বইমেলার সেরা স্টল’সহ বিভিন্ন পদক ও সম্মাননা।
সে সাথে বাংলা একাডেমি কথাপ্রকাশ-কে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮-এ নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৮’ এবং অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯-এ ২০১৮ সালে প্রকাশিত সর্বাধিক সংখ্যক বিষয় ও গুণমানসম্মত গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান করে।
এছাড়া সৃজনশীল প্রকাশনায় অবদান রাখার জন্য কথাপ্রকাশ-এর প্রকাশক পেয়েছেন ‘জীবনানন্দ পদক’সহ বেশ কিছু সম্মাননা।
২০১৩ সাল থেকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিস্তার লাভ করেছে কথাপ্রকাশ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাভাষীদের কাছে বাংলা বইকে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন মেলার মাধ্যমে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।